আমরা

আমরা বাংলাদেশ গুরুকুল পরিবার। একটি শিক্ষিত, দক্ষ, কর্মঠ, রুচিশীল ও মানবিক প্রজন্ম তৈরির শ্লোগানকে সামনে রেখে, তথ্য প্রযুক্তিবিদ জনাব সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর এর নেতৃত্ব ২০০৮ সালে গুরুকুল এর কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে কারিগরি দক্ষতায় প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরির ও প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোক্তা তৈরির জন্য, সচেতনতা মূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি, কিছু নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হতো। পাশাপাশি এ ধরনের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ কে কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হতো।

আমরা

আমরা একটি শিক্ষিত, দক্ষ, কর্মঠ, রুচিশীল ও মানবিক প্রজন্ম তৈরিতে কাজ করছি

 

২০০৯ সালে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলা সদরে প্রথম কারিগরি শিক্ষা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। উক্ত ইন্সটিটিউট টি ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন লাভ করে। উক্ত ইন্সটিটিউটে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ও বিভিন্ন মেয়াদের শর্ট কোর্স পরিচালনা শুরু হয়। কাল পরিক্রমায় গুরুকুলের আওতায় এখন ১১ টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যাতে ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল ও নার্সিং এর ডিপ্লোমা সহ বিভিন্ন মেয়াদের শর্ট কোর্স পরিচালিত হচ্ছে।

গুরুকুল পরিচালতি কোর্সসমুহের মধ্যে রয়েছে – গুরুকুল পরিচালিত কোর্সসমূহের মধ্যে রয়েছে – সিভিল প্রযুক্তি, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা, ইলেকট্রিক্যাল প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি, ফুড প্রযুক্তি, মেকানিক্যাল প্রযুক্তি, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং প্রযুক্তি (আর.এ.সি), এনভায়রনমেন্টাল প্রযুক্তি, আর্কিটেকচার প্রযুক্তি, অটোমোবাইল প্রযুক্তি, কেমিক্যাল প্রযুক্তি, নার্সিং প্রযুক্তি ইত্যাদি।

আমরা একটি শিক্ষিত, দক্ষ, কর্মঠ, রুচিশীল ও মানবিক প্রজন্ম তৈরিতে কাজ করছি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও অনানুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পাশাপাশি, “গুরুকুল অনলাইন লার্নিং নেটওয়ার্ক” নামক প্লাটফরমের মাধ্যমে, গুরুকুল বাংলাদেশের সর্বাধিক বৈচিত্র্যময় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই কার্যক্রমের আওতায়, বাংলাদেশের সকল শিক্ষা ব্যবস্থার অনলাইন ক্লাস, প্রায় অর্ধশত সামাজিক গণমাধ্যম চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। এছাড়া গুরুকুল অনলাইন লার্নিং নেটওয়ার্ক বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য শিক্ষার কন্টেন্ট উৎপাদন করছে। এই প্লাটফরম হতে বাংলাদেশ সরকারের “মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর” এবং “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা” অধিদপ্তরকে ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ তৈরি ও সরবরাহ করা হয়।

আমরা বাংলাদেশ গুরুকুল

পরিচালনার সুবিধার্থে ২০১৮ সালে “গুরুকুল ট্রাস্ট” নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে, গুরুকুলের সকল কার্যক্রমকে সেই ট্রাস্টের আওতায় আনা হয়। ট্রাস্টের পক্ষ হতে একটি নির্বাহী কমিটি সকল কার্যক্রমের দেখভাল করে। ট্রাস্টের নির্বাহী প্রধানকে বলা হয় “গুরুকুল প্রমুখ”। তবে ট্রাস্টের আওতায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠান সমূহের জন্য, প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদা নির্বাহী কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। গুরুকুলের সার্বিক পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য খাত-ওয়ারী নির্দিষ্ট কমিটি রয়েছে।

গুরুকুলের প্রধান কার্যালয় কুষ্টিয়া জেলা শহরে। এই জেলায় শিক্ষার হার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৬.৩%; পুরুষ ৪৭.৯%, মহিলা ৪৪.৮%। এই জেলায় উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো – ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৯), কুষ্টিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (১৯৪৭), কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ (১৯৬৭), কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ (১৯৬৮), কুমারখালী ডিগ্রি কলেজ (১৯৭০), খোক্সা ডিগ্রি কলেজ (১৯৭২), পান্টি ডিগ্রি কলেজ (১৯৭৮), কুমারখালী এম এন পাইলট হাইস্কুল (১৮৫৬), গোস্বামী দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৬০), জুনিয়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৭২), খোক্সা জানিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০০), যদুবয়রা হাইস্কুল (১৯০২), কুষ্টিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১০), মিরপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৩), দিনমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৩০), মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৮), পান্টি হাইস্কুল (১৯৫৭), কুষ্টিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং কুষ্টিয়া জেলা স্কুল (১৯৬০), দৌলতপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৩), কুমারখালী বালিকা বিদ্যালয় (১৯৬৩), মরিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭৩), দৌলতপুর পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭৯), ভেড়ামারা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৬৯), প্রাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০৫), মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৮৯)।

 

আরও দেখুন: