বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (বাকাশিবো):
গুরুকুলের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিক্যাল ইন্সটিটিউট সমূহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত। ১৯৬৭ সালের ১নং সংসদীয় কারিগরি শিক্ষা আইনবলে স্থাপিত হয় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মান প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণ, মূল্যায়ন ও উন্নয়নের সার্বিক দায়িত্ব এই শিক্ষা বোর্ডের উপর ন্যস্ত। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের সকল পলিটেকনিক পরিচালনা করে। Website
বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ:
গুরুকুলের মেডিক্যাল ইন্সটিটিউটসমূহ বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ অধিভুক্ত। অভিভক্ত বাংলায় ১৯১৪ সালে প্রথম চিকিৎসক সংকট মেটাতে “STATE MEDICAL FACULTY OF BENGLE” প্রতিষ্ঠা করা
হয়। সেখানে এলএমএফ এবং এমএমএফ কোর্স চালু করা হয়। এরপর ব্রিটিশ ভারতের বিভিন্ন ভাগে আরও “স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি” প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এরপর ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পরে “রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ” পুনর গঠন হয়। “এলএমএফ” ও “এমএমএফ” ডিগ্রীধারী চিকিৎসকেরা তৎকালীন মেডিকেল কাউন্সিলে নিবন্ধিত হতে পারতেন। এবং পরবর্তিতে যখন এমবিবিএস কোর্স চালু করা হয়, তখন তারা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পেতেন।
সময়ের পরিবর্তনে যখন গ্র্যাজুয়েট লেভেলের চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়তে থাকে তখন বিভিন্ন “রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের” অধিনে এই সকল আন্ডার গ্র্যাজুয়েট লেভেলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হতে থাকে এবং এই সকল ফ্যাকাল্টিগুলোও বন্ধ হতে থাকে।
বাংলাদেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের গরিব ও পল্লী এলাকার মানুষের জন্য চিকিৎসা সংকট অনুভব করেন। কারণ আমাদের দেশে তখন চিকিৎসকের খুব অভাব ছিল। তাই তিনি ডব্লিউএইচও এর প্রচেষ্টায় ও Dr Thushara Fernando’র সহযোগীতায় বাংলাদেশে মধ্যম মানের চিকিৎসা কোর্স (মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স) চালু করেন। যা এলএমএফ ও এমএমএফ কোর্সের অনুরূপ কোর্স। পরবর্তিতে তাই বিএমডিসি এক্ট ১৯৮০ তে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য উক্ত কোর্সের ডিগ্রীটাকে পরিবর্তন করে ডিএমএফ করা হয়। Website
বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা:
নার্সিং শিক্ষায় বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। এই প্রতিষ্ঠানের অধিভুক্ত হয়ে গুরুকুল শিক্ষা পরিবারের কিছু প্রতিষ্ঠান নার্সিং ও মিডউইফারি কোর্সসমুহ পরিচালনা করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের জাতিয় নার্সিং কারিকুলাম এর আওতায় লেখাপড়া করে এবং জাতিয় আয়োজনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। Website