আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০, কুষ্টিয়া গুরুকুল [ International Mother Language Day 2020, Kushtia Gurukul ]

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০, কুষ্টিয়া গুরুকুল [ International Mother Language Day 2020, Kushtia Gurukul ]: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০ পালিত হয়েছে কুষ্টিয়া গুরুকুল ক্যাম্পাসে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০ উপলক্ষে, গুরুকুল ট্রাস্ট এর কুষ্টিয়া ক্যাম্পাস এ [কুষ্টিয়া গুরুকুল] , পালিত হল দিব্যাপি কর্মসূচি। ”দাপ্তরিক সব কাজ আমরা বাংলায়​ করি, আপনি?” এই স্লোগানকে সামনে রেখে, গুরুকুল উদযাপন করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০, কুষ্টিয়া গুরুকুল

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, জনাব ইমতিয়াজ খান এর নেতৃত্বে কর্মসূচি পরিচালিত হয়। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে আয়োজিত হয় দীর্ঘ র‍্যালী। কুষ্টিয়া গুরুকুল এর ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন ও মেডিকেল সেকশনের প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী-শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ নিয়ে র‍্যালি শুরু হয়।

প্রতি বছর কুষ্টিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে সর্ব বৃহৎ র‍্যালি নিয়ে অংশগ্রহণ করে গুরুকুল। গুরুকুলের বৃহৎ র‍্যালি কুষ্টিয়া গুরুকুল লালন সাঁই ক্যাম্পাস (কালিশংকরপুর) থেকে শুরু হয়ে, কুষ্টিয়া শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে, কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

র‍্যালি শেষে, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের একাংশ, শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তাবৃন্দ প্রতিষ্ঠানে প্রত্যাবর্তন করেন। উক্ত র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন গুরুকুলের সহকারী পরিচালক জনাব রাকিবুজ্জামান তানিম, গুরুকুল উপাধ্যক্ষ জনাব এম এ মাসুম, এছাড়াও সকল ট্রেড প্রধানসহ গুরুকুলের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

আমরা একমাত্র জাতী যারা মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় জীবন দিয়েছি। ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন, আমাদের অগ্রজ – সালাম, বরকত, জব্বার, রফিক, শফিউল্লাহ সহ নাম না জানা অনেকে বাঙ্গালী বীর। অসংখ্য ছাত্র, রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ জনগন, জেল হাজত ভোগ করেন, নির্যাতিত হন। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই আন্দোলনের সমর্থনে জেলে অনশন করেন। তাদের সকলের মহান ত্যাগের বিনিময়েই আমাদের বাংলা ভাষার উপরে আমাদের অধিকার অর্জিত হয়েছে।

র‍্যালি ও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে, দিবসটির ইতিহাস ও তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে, গুরুকুল প্রমুখ সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর ভিডিও মাধ্যমে বক্তৃতা করেন।

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর বলেন

“আমরা একমাত্র জাতী যারা মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় জীবন দিয়েছি। ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন, আমাদের অগ্রজ – সালাম, বরকত, জব্বার, রফিক, শফিউল্লাহ সহ নাম না জানা অনেকে বাঙ্গালী বীর। অসংখ্য ছাত্র, রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ জনগন, জেল হাজত ভোগ করেন, নির্যাতিত হন। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই আন্দোলনের সমর্থনে জেলে অনশন করেন।

তাদের সকলের মহান ত্যাগের বিনিময়েই আমাদের বাংলা ভাষার উপরে আমাদের অধিকার অর্জিত হয়েছে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, আমরা দীর্ঘদিন এই দিনটিকে “শহীদ দিবস” ও “ভাষা দিবস” হিসেবে পালন করে এসেছি। তবে ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর, জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনেস্কো, ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। এর পর থেকে এই দিনটি বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন হয়েছে। তখন থেকে আমরা এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করি।

তাই এই দিনটি এখন শোকের নয়, বরং উদযাপনের। সারা পৃথিবীর সকল মাতৃভাষার জয়গান গাইবার। আজ সারা বিশ্ব একযোগে সেভাবেই পালন করছে এই দিনটিকে। আজকের দিনটিতে আমরা আমাদের সেই বীর পূর্ব পুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, তাদের ত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। পাশাপাশি আমরা উদযাপন করি বাংলা ভাষা সহ পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা ও সেই ভাষা থেকে উৎসারিত সব ধরনের শিল্প। জয় বাংলা”।

সহকারী পরিচালক রাকিবুজ্জামান তানিম দিবসটির তাৎপর্য ও ইতিহাস তুলে ধরে আলোচনা করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি। উল্লেখ্য যে, কুষ্টিয়া ছাড়াও কুমারখালী গুরুকুল, খোকসা গুরুকুল, রাজবাড়ি গুরুকুল সহ ঢাকা গুরুকুল দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

গুরুকুল অনলাইন লার্নিং নেটওয়ার্ক হতে শিক্ষার্থীদের জন্য বক্তৃতা শেখবার জন্য কিছু ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। নিচে

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বক্তৃতার লিংক দেয়া হল :

 

 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বক্তৃতা:

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে আরও জানুন: