১. শিল্পী:
১০০% বৃত্তি
নিয়মিত শিল্পীদের জন্য ১০০% বৃত্তির কোটা
অর্থাৎ এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর কোর্স ফিসের ১০০% বৃত্তি থেকে আসবে, তাকে কোন কোর্স ফিস দিতে হবে না।
প্রতিটি ট্রেডে নিচের ৫ টি বৃত্তি রয়েছে:
– ১ জন সংগীত শিল্পী (গায়ক)
– ১ জন সংগীত শিল্পী (বাদক)
– ১ জন নৃত্য শিল্পী
– ১ জন অভিনয় শিল্পী
– ১ জন চিত্রকলা শিল্পী।
এই কোটায় বৃত্তি পাবার জন্য আমাদের গুরুকুল এর ব্যাবহারিক পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
এই কোটায় ভর্তি হলে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত চর্চা করতে হবে। চর্চা না করলে সুবিধাটি বাতিল হয়ে যাবে।
সঙ্গীত, নৃত্য, অভিনয়, চিত্রকলা সহ স্বীকৃত সকল শিল্পকলায় পরিচিত শিল্পীদের সন্তানের জন্য ৬০% বৃত্তি। কবি ও সাহিত্যিক এই কোটার অন্তর্ভুক্ত।
২. খেলোয়াড়:
১০০% বৃত্তির কোটা
নিয়মিত খেলোয়াড়দের জন্য ১০০% বৃত্তি
অর্থাৎ এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর কোর্স ফিসের ১০০% বৃত্তি থেকে আসবে, তাকে কোন কোর্স ফিস দিতে হবে না।
প্রতিটি ট্রেডে নিচের ৩ টি বৃত্তি রয়েছে:
– ১ জন লাঠিয়াল
– ১ জন ফুটবলার
– ১ জন ক্রিকেটার।
এই কোটায় বৃত্তি পাবার জন্য আমাদের গুরুকুল এর ব্যাবহারিক পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
এই কোটায় ভর্তি হলে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত চর্চা করতে হবে। চর্চা না করলে সুবিধাটি বাতিল হয়ে যাবে।
স্বীকৃত খেলোয়াড়দের সন্তানের জন্য ৬০% বৃত্তি।
অর্থাৎ এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর কোর্স ফিসের ৬০% বৃত্তি থেকে আসবে, শিক্ষার্থী মাত্র ৩০% কোর্স ফি দিয়ে পড়তে পারবে।
৩. হরিজন:
১০০% বৃত্তির কোটা
হরিজন/দলিত পরিবারের সদস্যদের জন্য ১০০% বৃত্তি
অর্থাৎ এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর কোর্স ফিসের ১০০% বৃত্তি থেকে আসবে, তাকে কোন কোর্স ফিস দিতে হবে না।
এই বৃত্তি শুধুমাত্র হরিজন/দলিত পরিবারের সদস্যরা পাবেন। একই ট্রেডে সর্বোচ্চ ৫ জন এই বৃত্তি পাবেন।
ভর্তির সময় প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
৪. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়:
১০০% বৃত্তি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবারের সদস্যদের জন্য ১০০% বৃত্তি
অর্থাৎ এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর কোর্স ফিসের ১০০% বৃত্তি থেকে আসবে, তাকে কোন কোর্স ফিস দিতে হবে না।
এই বৃত্তি শুধুমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবারের সদস্যরা পাবেন।
ভর্তির সময় প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
৫. এতিম শিক্ষার্থী :
৮০% থেকে ১০০% বৃত্তির কোটা
এতিমখানার শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্স ফিতে ৮০% বৃত্তি।
অর্থাৎ এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর কোর্স ফিসের ৮০% বৃত্তি থেকে আসবে, শিক্ষার্থী মাত্র ২০% কোর্স ফিস দিয়ে পড়তে পারবে।
কোন অভিভাবক ও বাড়িঘর না থাকলে ১০০% বৃত্তি। এমনকি জীবন ধারণের খরচ গুরুকুলের প্রমুখের বিশেষ বৃত্তির আওতায় করা হবে।
অর্থাৎ এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর কোর্স ফিসের ১০০% বৃত্তি থেকে আসবে, শিক্ষার্থীকে কোন কোর্স ফিস দিতে হবে না। পাশাপাশি গুরুকুল প্রমুখ এর বিশেষ বৃত্তির আওতায় তার কাপড় ও থাকা-খাবার খরচ দেবার ব্যবস্থা করা হবে।
ভর্তির সময় প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
৬. প্রতিবন্ধী:
৭০% থেকে ১০০% বৃত্তি
সচ্ছল পরিবারের প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য (বধির ও অন্ধ ব্যতীত) জন্য ৭০% বৃত্তি।
অর্থাৎ এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর কোর্স ফিসের ৭০% বৃত্তি থেকে আসবে, শিক্ষার্থী মাত্র ৩০% কোর্স ফি দিয়ে পড়তে পারবে।
সহায় সম্বলহীন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য ১০০% বৃত্তি।
অর্থাৎ এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর কোর্স ফিসের ১০০% বৃত্তি থেকে আসবে, তাকে কোন কোর্স ফিস দিতে হবে না।
ভর্তির সময় প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
৭. মুক্তিযোদ্ধা:
৬০% থেকে ১০০% বৃত্তির কোটা
সনদধারী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান/নাতি (মেয়ের ছেলে-মেয়ে/ছেলের ছেলে-মেয়ে)-এর জন্য ৬০% বৃত্তি।
অর্থাৎ এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর কোর্স ফিসের ৬০% বৃত্তি থেকে আসবে, শিক্ষার্থী মাত্র ৪০% কোর্স ফি দিয়ে পড়তে পারবে।
সহায় সম্বলহীন (শুধুমাত্র সরকারি ভাতার উপরে নির্ভরশীল) সনদধারী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান/নাতি (মেয়ের ছেলে-মেয়ে/ছেলের ছেলে-মেয়ে)-এর জন্য ১০০% বৃত্তি।
অর্থাৎ এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর কোর্স ফিসের ১০০% বৃত্তি থেকে আসবে, তাকে কোন কোর্স ফিস দিতে হবে না।
সহায় সম্বলহীন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান/নাতি (মেয়ের ছেলে-মেয়ে/ছেলের ছেলে-মেয়ে)-এর জন্য ১০০% বৃত্তি।
অর্থাৎ এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর কোর্স ফিসের ১০০% বৃত্তি থেকে আসবে, তাকে কোন কোর্স ফিস দিতে হবে না।
ভর্তির সময় প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
ভর্তির সময় মুক্তিযোদ্ধার মূল সনদ সাথে আনতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা সনদের ফটোকপি এবং শিক্ষার্থীর নাম ও মুক্তিযোদ্ধার সাথে সম্পর্ক উল্লেখ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের প্রত্যয়ন-পত্র জমা দিতে হবে।
৮. ভূমিহীন- কৃষি শ্রমিক, ভ্যান-রিকশাচালক ও মৎস্যজীবী:
৫০% বৃত্তির কোটা
ভূমিহীন- কৃষি শ্রমিক, ভ্যান-রিকশাচালক ও মৎস্যজীবীর সন্তানের জন্য ৫০% বৃত্তি। অর্থাৎ এমন শিক্ষার্থীরা মাত্র ৫০% কোর্স ফি দিয়ে পড়তে পারবে।
ভর্তির সময় চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন-পত্র জমা দিতে হবে।
৯. শিক্ষক পরিবার:
৫০% বৃত্তি
যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মী পরিবারের সদস্য (পৌষ্য) ক্ষেত্রে কোর্স ফিতে ৩০% বৃত্তি। অর্থাৎ এমন শিক্ষার্থীরা মাত্র ৭০% কোর্স ফি দিয়ে পড়তে পারবে।
ভর্তির সময় অভিভাবকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন-পত্র জমা দিতে হবে।
১০. শিক্ষার্থীর পরিবার:
২৫% থেকে ৩০% বৃত্তির কোটা
একই পিতা/মাতার ২ সন্তান ভর্তি হলে প্রতিজন তার কোর্স ফি তে ২৫% বৃত্তির কোটা। একই পিতা/মাতার ৩ সন্তান ভর্তি হলে প্রতিজন তার কোর্স ফি তে ৩০% বৃত্তি পাবে।
ভর্তির সময় প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
১১. গুরুকুল কর্মীর পরিবার:
৬০% বৃত্তির কোটা
গুরুকুল পরিবারের যে কোন কর্মীর (স্বামী-স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোন, ভায়ের ছেলে-মেয়ে, বোনের ছেলে-মেয়ে) এর ক্ষেত্রে ৬০% বৃত্তির কোটা। অর্থাৎ এমন শিক্ষার্থীরা মাত্র ৪০% কোর্স ফি দিয়ে পড়তে পারবে।
ভর্তির সময় প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
১২. ছাত্রী:
সেই সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সমূহে (সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক্স, কম্পিউটার, টেক্সটাইল ও জিডিপিএম) ছাত্রীদের কোর্স ফি প্রতি মাসে ১০০০/=। অর্থাৎ একজন ছাত্রের মাসিক বেতন ২৫০০/= হলেও একই ট্রেডের একজন ছাত্রীর মাসিক বেতন ১০০০/=টাকা।
১৩ স্টেপ বৃত্তি:
বাংলাদেশ সরকার ও স্কিলস এ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (STEP) এর আওতায় মেয়ে শিক্ষার্থীরা শতভাগ ও ছেলে শিক্ষার্থী যারা প্রকৃত আর্থিকভাবে অসচ্ছল তাদের জন্য রয়েছে প্রতি মাসে ৮০০টাকা করে বৃত্তির ব্যাবস্থা।
বি:দ্র: একজন শুধুমাত্র একটি সুবিধা প্রাপ্ত হবেন। কেউ উপরোক্ত একের অধিক ক্ষেত্রে পড়লে সর্বোচ্চ সুবিধাটি পাবেন। কোটার আবেদন প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী যাচাই বাছাই এর পরে ভর্তি নিশ্চিত করা হবে। কোটার আবেদনে কোন অসত্য তথ্য দিলে বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথে কোটা বাতিল করা হবে ও প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই নীতিমালাটি গুরুকুল পরিচালনা পরিষদের অনুমোদনক্রমে ২০১৭-১৮ সেশন এর ভর্তির শুরু থেকে কার্যকর হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ গুরুকুলে নার্সিং ভর্তি বিজ্ঞপ্তি [ Nursing Admission @ Gurukul ]
উইকিপিডিয়াঃ বৃত্তিমূলক শিক্ষা