আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ২০১৯ : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস -২০১৯ উপলক্ষে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষা পরিবার “গুরুকুল” এর পক্ষ্য থেকে পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
“দাপ্তরিক সব কাজ আমরা বাংলায় করি, আপনি?” এই স্লোগানকে সামনে রেখে একুশ উদযাপন কমিটির আহবায়ক আর.এস ট্রেড প্রধান উম্মে হাবিবার নেতৃত্বে সকাল থেকে দীর্ঘ র্যালী ও শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে দিবসটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি।
কুষ্টিয়া গুরুকুল এর ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন ও মেডিকেল সেকশনের প্রায় ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী-শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দের অংশগ্রহনে,কুষ্টিয়ার স্মরনকালের সর্ববৃহৎ এই র্যালীটি কুষ্টিয়া গুরুকুল লালন সাঁই ক্যাম্পাস (কালিশংকরপুর) থেকে শুরু হয়ে, কুষ্টিয়া শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে, কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন গুরুকুলের সহকারী পরিচালক জনাব রাকিবুজ্জামান তানিম,অধ্যক্ষ গুরুকুল জনাব এম এ মাসুম, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস -২০১৯ উদযাপন কমিটির আহবায়ক উম্মে হাবিবা সহ অন্যন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে গুরুকুলের সহকারী পরিচালক রাকিবুজ্জামান তানিম দিবসটির তাৎপর্য ও ইতিহাস তুলে ধরে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন; মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় ১৯৫২-এ জীবন দিয়েছিল সালাম, বরকত, জব্বার, রফিক, শফিউল্লাহসহ নাম না জানা অনেকে। তাদের রক্তের বিনিময়েই আজকে মুখে মুখে বাংলা ভাষা। বাংলায় রচিত হচ্ছে হাজারো গান, কবিতা, নাটক, উপন্যাস আর অজস্র কথামালা।
আজকের দিনটি শুধু সেই বীর ভাষাসৈনিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর, যারা ভাষার জন্য অকাতরে নিজের প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছিলেন। আজকের দিনটি কেবল বাংলাদেশে নয়। বিশ্বের সব প্রান্তে পালিত হবে বীরের রক্তস্রোত আর মায়ের অশ্রুভেজা অমর একুশে।
বাঙালির রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। এরপর থেকেই যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা বিশ্বে একযোগে পালিত হয়ে আসছে দিনটি।
উল্লেখ্য যে, কুষ্টিয়া ছাড়াও কুমারখালী গুরুকুল, খোকসা গুরুকুল,রাজবাড়ি গুরুকুল সহ ঢাকা গুরুকুল দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
[ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ২০১৯
আরও পড়ুন :