কুষ্টিয়া জেলার নামকরণের ইতহাস

Table of Contents

১৮২০ সালে প্রকাশিত হেমিলটনের ইন্ডিগো গেজেটিয়ারে KUSTEE বা কুষ্টি বানানে এই স্থানের উল্লেখ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকেরা এখনও কুষ্টিয়াকে কুষ্টে বলে। সৈয়দ মুর্তাজা আলী লিখেছেন কুষ্টিয়া শব্দটি ফারসি ‘কুশতহ’ বা কুস্তা থেকে এসেছে। কোষ্টা বা পাট থেকে এ নামকরণ হতে পারে। কুষ্টিয়া শব্দটির প্রাচীন বানান লক্ষ করলে অনুমান করা যায় যে, কুষ্টা বা কুস্তি (খেলা) কিংবা ফারসি কুশতং থেকে কুষ্টিয়া শব্দটির জন্ম। তবে কুষ্ট বা কুস্তি খেলা থেকে কুষ্টে বা কুষ্টিয়া প্রভুতি বানানে লেখা হতে হতে বর্তমানে কুষ্টিয়া উচ্চারণে এসেছে।কেউ কেউ মনে করেন, কুষ্টিয়া গ্রামের নাম হতে এর নামকরণ হয়েছে কুষ্টিয়া জেলা।

 

আয়তন :

কুষ্টিয়া জেলা
কুষ্টিয়া জেলা

১,৬২১.১৫ বর্গ কিলোমিটার।

 

উপজেলাসমূহ :

১. কুষ্টিয়া সদর, ২. খোকসা, ৩. কুমারখালী, ৪. দৌলতপুর, ৫. ভেড়ামারা ও ৬. মিরপুর।

 

চিত্তাকর্ষক ও ঐতিহাসিক স্থান :

শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, ছেউরিয়ায় লালন শাহের মাজার, মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তাভিটা, সোলেমান শাহের মাজার, হার্ডিণ্ড ব্রিজ ও খোকসার কালমিন্দির।

 

বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ :

মীর মশাররফ হোসেন মৌলভী শাসউদ্দিন আহম্মদ, কবি আজিজুর রহমান, রাধা বিনোদ পাল, অক্ষয়কুমার মিত্র (সাহিত্যিক), জোবেদা খানম, কাজী মোতাহার হোসেন, বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ, কাঙাল হরিনাথ দে, ঔপন্যাসিক আকবর হোসেন, শাহ্ আজিজুর রহমান, শিল্পী আবদুল জব্বার, ফরিদা পারভীন, গোলাম কিবরিয়া, সোহেল অমিতাভ, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, সৈয়দ আলতাফ হোসেন, নূরে আলম জিকু, মোঃ আলাউদ্দিন, মাসুদ রুমী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাসার।

 

জনসংখ্যা :

১৯৯১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী পুরুষ : ৮,৭১,৩৪৬, মহিলা: ৮,৪১,৮৭৮ জন। মোট : ১৭,১৩,২২৪ জন।

 

কুষ্টিয়া জেলার উল্লেখযোগ্য নদ-নদী :

গড়াই, কুমার ইত্যাদি।

 

প্রধান প্রধান উৎপাদিত ফসল :

ধান, আখ, তামাক, পাট, গম, ভুট্টা ও সরিষা।

 

আরো পড়ুনঃ মীর মশাররফ হোসেন ক্যাম্পাস, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া

উইকিপিডিয়াঃ কুষ্টিয়া জেলা