কেয়ারগিভার কোর্স

অনলাইনের পাশাপাশি গুরুকুল ক্যাম্পাসে কেয়ারগিভার কোর্স করানো হয়। এই কোর্সটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত। বছরে দুবার ভর্তি নেয়া হয়। অগ্রিম আসন সংরক্ষণের জন্য আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন। গুরুকুল বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো কেয়ারগিভার পেশাটিকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে কাছ করছে। দেশের বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টির মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার পাশাপাশি বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ও সুনাম বৃদ্ধিতে কাজ করছে । আসুন কেয়ারগিভার কোর্সটি সম্পর্কে আরেকটু জেনে নেই।

কেয়ারগিভার কোর্স

কেয়ারগিভার কোর্স

কেয়ারগিভারের কাজ কী?

নিচে কেয়ার গিভারের কাজের পরিধি আলোচনা করা হল-

  • সেবাগ্রহীতার হাউজকিপিং, হাউজক্লিনিং, লন্ড্রিসেবা এবং বিভিন্ন স্থানে পরিভ্রমন করানো।
  • সেবাগ্রহীতার পালস, জ্বর, ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার, শ্বাস প্রশ্বাস ও অন্যান্য ভাইটাল সাইন মনিটর, রেকর্ড এবং রিপোর্ট করা।
  • সেবাগ্রহীতার জন্য ক্যালরী হিসাব করে পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী বাজার করা, রান্না করা ও পরিবেশন করা।
  • সেবাগ্রহীতার আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে সর্বদা যোগাযোগ রাখতে সহায়তা করা।
  • সেবাগ্রহীতাকে হতাশায় শান্তনা দেয়া, চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা এবং অন্যান্য ইমোশনাল সাপোর্ট প্রদান করা।
  • সেবাগ্রহীতাকে সার্বক্ষণিক সহচার্য প্রদান করা এবং তার যাবতীয় আদেশ নির্দেশ পালন করা।
  • সেবাগ্রহীতাকে বিছানা/হুইল চেয়ার/গাড়ীতে উঠানামা করানো।
  • সেবাগ্রহীতাকে ফিজিওথেরাপী প্রদান করা, ফিডিং টিউবে খাওয়ানো, নেবুলাইজ করা, অক্সিজেন দেয়া, ইনসুলিন দেয়া এবং প্রয়োজনে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস প্রদান করা।
  • সেবাগ্রহীতাকে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সময়মত ঔষধ ও পথ্যাদি খাওয়ানো।
  • সেবাগ্রহীতাকে খাওয়ানো, গোসল করানো, ড্রেসিং, টয়লেটিং, সাজগোজ ইত্যাদি করানো।
  • শ্বাস নালীতে খাদ্য বা পানীয় ঢুকে হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া, বার্ন, ইনজুরি এবং অন্যান্য ইমারজেন্সীতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা।
  • শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী সেবাগ্রহীতাকে সার্বক্ষণিক তদারকি ও সহচার্য প্রদান করা।
  • শয্যাগত / অজ্ঞান সেবাগ্রহীতাকে এপাশ ওপাশ করানো এবং ব্যায়াম করানো।
  • ব্যক্তিগত/অফিসিয়াল কাজ যেমন- ব্যাংকিং, লিগ্যাল ইত্যাদি কাজের জন্য সাহায্য করা।
  • জরুরী প্রয়োজনে সেবাগ্রহীতাকে হাসপাতালে অথবা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া।

 

কেয়ারগিভার

 

কেয়ার গিভার কোর্স কেন করবেন?

কোয়ারগিভার কোর্সটি ভবিষ্যৎ বিবেচনায় একটি সম্ভাবনাময় ও নিরাপদ পেশার কোর্স। এই কোর্সের মাধ্যমে আপনি নিজেকে একজন পেশাজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি অনেক গুলো সুযোগ সুবিধা পাবেন। তার কিছু নিচে উল্লেখ করা হল।

  • উচ্চ বেতনের এবং সম্মানজনক পেশা কেয়ার গিভার।
  • কোর্সটি মাত্র ছয় মাস, তাই তারাতারি শেষ করে সরাসরি চাকরিতে ঢোকা যায়।
  • সাধারণত কোর্স চলাকালে পার্ট টাইম চাকুরীর সুবিধা রয়েছে।
  • বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম, নার্সিং হোম, প্যারালাইসিস সেন্টার সমূহে চাকরির সুযোগ।
  • সেবা গ্রহীতাদের হোমকেয়ার প্রদানের মাধ্যমে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
  • কেয়ার গিভার প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ আছে।
  • যোগ্য কেয়ার গিভারগণের বিভিন্ন কেয়ার গিভারস প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়ােগ প্রাপ্তির সুযোগ আছে।
  • এই কোর্সের সার্টিফিকেট জাপান, কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে স্বীকৃত।

 

কেয়ার গিভার কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা:

কমপক্ষে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস কারার পরে ছাত্র/ছাত্রীগণ কেয়ারগিভার কোর্সের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে উল্লেখ্য যে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ, মেডিকেল টেকনোলজি, ডিপ্লোমা নার্সিং, মিডওয়াইফারী, ফাষ্ট এইড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীদের দক্ষতা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসাবে বিবেচিত হবে। যে কোন শিক্ষাবর্ষে পাশ করার শিক্ষার্থীরা এই কোর্সটি করতে পারবেন।

 

কেয়ারগিভার কোর্সের মেয়াদ, সময়, ফি ও বৃত্তি:

আমাদের কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর আওতায় কেয়ার গিভার সার্টিফিকেট কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। অর্থাৎ বছরে দুবার ভর্তি নেয়া হয়। তবে আসন খালি থাকলে বছরের যেকোনো সময় অগ্রিম আসন বুকিং নেয়া হয়। এই কোর্সটির মোট ফি ৬০০০০/- টাকা। তবে গুরুকুলের বৃত্তি পলিটি অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, ক্ষুদ্র-নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ছাড়াও নানাবিধ কোটায় সর্বোচ্চ ১০০% বৃত্তির ব্যবস্থা আছে।

 

ভর্তির জন্য  যোগাযোগ:

আমাদের যেকোন ক্যাম্পাসে এসে সরাসরি আলাপ করতে পারেন অথবা ফোন করুন : 01701229621 01701229622 নম্বরে।

 

আরও দেখুন: