ক্যাম্পাস প্রেস রিলিজ: গুরুকুল পরিবারের উদ্যোগে এবং গুরুকুল ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল একাডেমিক বিভাগের আয়োজনে বর্ণিল গুরুকুল পিঠা উৎসব ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কুষ্টিয়ার গুরুকুল লালন সাঁই ক্যাম্পাসের হল রুমে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

উৎসবের উদ্বোধন ও অতিথি উপস্থিতি
পিঠা উৎসবে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও রেজিস্ট্রার ড. ইসমত আরা। তিনি উৎসবের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং গুরুকুল কালচারাল ক্লাবের পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
পিঠা উৎসবের প্রাণবন্ত পরিবেশ
সকাল থেকে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে বিভিন্ন স্বাদের ঐতিহ্যবাহী পিঠার ঘ্রাণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। রকমারি পিঠার স্বাদ ও সৌন্দর্যে সবার মন জয় করে নেয় এ আয়োজন।
পিঠা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার
পিঠা উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল পিঠা তৈরির প্রতিযোগিতা। ভিন্ন স্বাদের ও সৃজনশীল উপস্থাপনার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন—
কম্পিউটার ট্রেডের জুনিয়র ইন্সট্রাকটর সোনিয়া মাহমুদ
আরএস বিভাগের শিক্ষক সাদিয়া ইসলাম
ইলেকট্রিক্যাল ট্রেড প্রধান রাসনা শারমিন

উপস্থিত অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা
উৎসবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করেন—
গুরুকুল কর্মী কল্যাণ তহবিলের নবনির্বাচিত সভাপতি, ইলেকট্রিক্যাল ট্রেড প্রধান ইন্সট্রাকটর রাসনা শারমিন
সাধারণ সম্পাদক ও আরএস ট্রেড প্রধান এম.এ. মাসুম
গুরুকুল সহকারী পরিচালক তানভির মেহেদি
ইনচার্জ ফাইনান্স খোন্দকার রুহুল আমিন
ইনচার্জ লিগ্যাল এন্ড এডমিন এস.এম. শামীম রানা
মেকানিক্যাল ট্রেড প্রধান তামান্না আফরোজ
সিভিল ট্রেড প্রধান সিরাজুম মনিরা
কম্পিউটার ট্রেড প্রধান শামীম রেজা
টেক্সটাইল ট্রেড প্রধান হাবিবুর রহমান
প্যাথলজি বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাকটর সুমনা আক্তার ও শারমিন সুলতানা
গুরুকুল নৃত্য বিভাগের শিক্ষক উপমা
সঙ্গীত শিক্ষক জহিরুল ইসলাম
এডমিশন কাউন্সিলর নাজনিন সুলতানা ও সুমাইয়া তাবাসুম
গুরুকুল অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার সুমন আহমেদ
এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উৎসবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।
সাংস্কৃতিক আমেজে পিঠা উৎসব
উৎসবের পাশাপাশি গুরুকুল কালচারাল ক্লাবের আয়োজনে পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অংশগ্রহণকারীদের মুগ্ধ করে। গান, নৃত্য ও কবিতা পরিবেশনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিভার পরিচয় দেন, যা পিঠা উৎসবের আমেজকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।