প্রখ্যাত লেখক, বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল-এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কুষ্টিয়া গুরুকুলের ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল বিভাগের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। এসময় তাঁরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

কর্মসূচির স্থান ও সময়
- মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া গুরুকুল লালন সাঁই ক্যাম্পাসের সামনে।
- সময়: বিকেল ৩টা।
- এতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

বক্তাদের বক্তব্য
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—
- মুহাইমিনুর রহমান জিম (শিক্ষার্থী, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ)
- অর্নব মাহমুদ (শিক্ষার্থী, কম্পিউটার বিভাগ)
- ইয়াসিন আরাফাত তুষার (শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ)
- এম. এ. মাসুম (বিভাগীয় প্রধান, আরএস বিভাগ)
- রাসনা শারমিন (ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ)
- রুহুল আমিন (ইনচার্জ, ফাইন্যান্স)
- তানভির মেহেদী (সহকারী পরিচালক)
- শামীম রানা (ইনচার্জ, লিগ্যাল ও অ্যাডমিন)
বক্তব্যের মূল প্রতিপাদ্য
বক্তারা তাদের বক্তব্যে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জানান এবং বলেন:
“ইসলামের নামে ড. জাফর ইকবালের উপর হামলা আসলে আমাদের ধর্মের উপরই আক্রমণ। এ ধরনের নৃশংস ঘটনা ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসেবে বিশ্বাস করা লক্ষ কোটি মুসলিমকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কলঙ্কিত করছে। কিছু অমানুষের কারণে সমগ্র মুসলিম সমাজকে জঙ্গিবাদের তকমা বহন করতে হচ্ছে, যা অগ্রহণযোগ্য।”
তাঁরা আরও বলেন—
- জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদদাতাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
- ইসলামকে ঢাল বানিয়ে যারা সন্ত্রাস ছড়ায়, তারা আসলে ধর্মের শত্রু।
- শান্তিপ্রিয় মুসলিম সমাজের দায়িত্ব হলো এই উগ্রবাদীদের প্রতিহত করা।
- ধর্ম ও মানবতার মর্যাদা রক্ষাই আজকের যুগের প্রকৃত জিহাদ।
কুষ্টিয়া গুরুকুলের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এককথায় স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে—
বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সমাজ ও সাধারণ মানুষ জঙ্গিবাদকে কখনোই প্রশ্রয় দেবে না।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।